আলোর মনি রিপোর্ট: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার কমিটি গঠণের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে এবারের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জেলা কমিটির শীর্ষপদে দলের বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে আনুগত্য, ত্যাগী, দক্ষতার পরিচয় দেয়া পাশাপাশি স্বচ্ছতা, সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত, নিয়মিত ছাত্রদের মধ্য থেকে, শৃঙ্খলাবোধ, দায়িত্ব এবং কর্তব্যপরায়ণ ছাত্রলীগকে মূল্যায়ণ করা হবে বলে মনে করেছেন সাবেক ও বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার নতুন কমিটিতে ৭৩জন পদপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে সরাসরি/ডাকযোগে তারা তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২১ইং সালের ১১ জুন মেয়াদ শেষ হওয়ায় লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সদস্য বিলুপ্ত লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন জাবেদ হোসেন বক্কর ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইয়াকুব আলী। তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত জেলা কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
ওই বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ায় লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে আগামীতে নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সম্পাদক পদে আগ্রহী পদ-প্রত্যাশীদের আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে সরাসরি/ডাকযোগে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে ৭৩জন পদপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে সরাসরি/ডাকযোগে তারা তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তবে এবারে ছাত্রলীগের কমিটি গঠণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কেন্দ্রীয় কমিটি ত্যাগী, দক্ষ, পরিচ্ছন্ন ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতারা থাকায় গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সফল জেলা ছাত্রলীগের নেতারাই শীর্ষপদে নির্বাচিত হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর এক্ষেত্রে দলের বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে আনুগত্য, ত্যাগী, দক্ষতার পরিচয় দেয়া পাশাপাশি স্বচ্ছতা, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত, নিয়মিত ছাত্র, শৃঙ্খলাবোধ, দায়িত্ব এবং কর্তব্যপরায়ণ ছাত্রলীগকে মূল্যায়ণের ভিত্তিতে জেলা ছাত্রলীগ থেকে কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষপদ পাচ্ছেন তারা।
একাধিক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা বলেন, প্রতিটি সক্রিয় নেতা-কর্মীর লক্ষ্য থাকে নিজের মূল্যায়নের সক্রিয় ত্যাগী মনোভাব নেতা-কর্মীদের মূল কমিটিতে শীর্ষপদ নিশ্চিত করার বিষয়টির উপর জোর দিতে হবে। এতে করে তৃণমূলে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয়তা বাড়ার পাশাপাশি ত্যাগী ও দক্ষ নেতা-কর্মী তৈরি হবে।
সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা এরশাদ হোসেন জাহাঙ্গীর, শহীদুল ইসলাম, জাবেদ হোসেন বক্কর, শামীম আহম্মেদ, মেহেদী হাসান, ইয়াকুব আলী এবং তৃণমূলের অনেকেই জানান, বর্তমান ছাত্র রাজনীতিতে ছাত্রলীগের অবস্থান অনেক ভালো। আর যারা নেতা বাছাই করবেন তারা ত্যাগী, সৎ ও দক্ষ এবং মাদকমুক্ত নিয়মিত ছাত্রকে নেতা হিসাবে বাছাই করবেন এমটাই প্রত্যাশা তাদের। তাছাড়াও এবার দক্ষ নেতারা জেলা কমিটিতে মূল্যায়িত হবে। তাদের যদি আমরা ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সক্রিয় রাখতে পারি, তাহলে দেশ থেকে মাদকাসক্তি, সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।